কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়? লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম 

WhatsApp Group (Join Now) Join Now
Telegram Group (Join Now) Join Now

কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়? কবে পড়তে হয়, লাইলাতুল শবে কদর সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? মহানবী (সাঃ) এর কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনা ও হাদিসের আলোকে শবে কদর সম্পর্কে আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়।

শবে কদর মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি উপহার স্বরূপ। 

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একবার আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে ফরমায়েশ করেছিলেন আল্লাহ পূর্বের নবীগণের উম্মতেরা অনেক বেশি বছর বেঁচে থাকতেন, তারা আপনার আমল করার বেশি সুযোগ পেতেন, আমার বান্দাদের হায়াত খুব কম হবে তারা কিভাবে তাদের সমপরিমাণ আমল করবে।

মহান আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবেসে এবং তার উম্মতদের কে ভালবেসে বলেছিলেন তোমাদের উম্মতদেরকে এমন পাঁচটি রাত্র দেওয়া হবে যে পাঁচটি রাত্রে ইবাদত হাজার বছরের উত্তম সওয়াব পাওয়া যাবে।

আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে যে পাঁচটি বড় রাত্রির কথা বলা হয়েছে এর মধ্যে একটি হচ্ছে শবে কদর বা লাইলাতুল কদরের পবিত্র রাত্রি।

শবে কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তাই প্রতিটি মুসলিম নর-নারীকে জানতে হবে।

লাইলাতুল কদর নামাজ কখন পড়তে হয়?

মুসলমানদের জন্য আরবি ক্যালেন্ডার সবচেয়ে উত্তম মাস মাহে রমজান। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইওসাল্লাম ও হাদিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে মাহে রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাতে শবে কদর তালাশ করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দিষ্ট করে কোথাও বলা হয়নি যে শেষ দশদিনের রাত্রিতে লাইলাতুল কদরের নামাজ আদায় করার জন্য।

তবে আলেম-ওলামাদের ধারণা ও হাদিসের আলোকে মাহে রমজান মাসের ২৬তম রমজানে দিবাগত রাত্রে (27 তম রমজানের জন্য তারাবির পর) শবে কদর পালন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ কি?

হাদিস থেকে জানা যায় যে এই রজনী মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ সকলকে ক্ষমা করে দেন এবং বলা হয়ে থাকে তওবা কবুলের জন্য সেরা একটি রজনী।

লাইলাতুল শবে কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং শবে কদর নামাজ কত রাকাত এসম্পর্কে হাদিসে ব্যাপক বর্ণনা রয়েছে।

শবে কদরের নামাজ কত রাকাত আপনার প্রশ্ন যদি এমন হয় তবে বলব এর কোন নির্দিষ্ট পরিমান ও পরিমাপ নেই।

আমাদের দেশে মসজিদগুলোতে এশার নামাজের পর শবে কদরের নামাজ হিসাবে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করার রীতি দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ

রাজনীতি কিভাবে করতে হয়? রাজনীতিক হতে হলে করনীয় জানুন

মূলত মুসল্লিদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ শবে কদরের নামাজ হিসেবে পড়ার একটি রিতি মাত্র এটি।

আপনি দুই রাকাত করে নফল নামাজ যতো খুশি ততো রাকাত পড়তে পারেন এই রাতে।

তবে শবে কদরের নামাজ দুই রাকআত করে পড়া উত্তম।

দুই রাকাত পড়ার পর এই রাতের জন্য বিশেষ তসবি পাঠ শেষে আবারো দুই রাকাত, এভাবে চার রাকআত আদায় করলেই হবে বলে জানা যায়।

যেহেতু এই রাতে ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য হাসিলের কথা বলা হয়েছে তাই এরপর যত ইচ্ছা নফল নামাজ আদায় করা যায়।

আরও পড়ুনঃ

Google Meet কি? গুগল মিট ডাউনলোড

শবে কদরের নামাজে কি সূরা পড়া উত্তম?

শবে কদরের ২ রাকআত নামাজের প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার সূরা কদর ও দ্বিতীয় রাকাতে তিনবার সূরা ইখ্‌লাস পড়তে হয়।

দুই রাকআত করে চার রাকআত নামাজ পড়ার পর বসে বসে কিছু তসবি পড়ারও রীতি রয়েছে শবে কদরের পবিত্র এই রজনীতে।

মূলত নফল নামাজ পড়া, তসবি পড়া, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা ও আল্লাহ তায়ালার গুনগান করে এই মহা রজনী পালন করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে।

আরও পড়ুনঃ

Best Online Jobs For Students In Bangladesh 2023

এই রাত্রি সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে সমগ্র রাতের কোনো এক সময় আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরকে কে তার নুর দ্বারা পবিত্র করে দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন।

তাই হাজার বছরের চেয়ে উত্তম এই পবিত্র রজনীতে আমরা সবাই হাদিস অনুসারে বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার গুন-গান করব।

এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উদ্দেশ্যে দুরুদ ও সালাম পেশ করব।

আরও পড়ুনঃ

Perkinil কি কাজে ব্যবহার হয়?

শবে কদর নামাজের নিয়ত বাংলা

নাওয়াইতু-আন্‌ উছাল্লিয়া-লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্‌রি নফ্‌লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।

লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া

মূলত প্রতি চার রাকাত পর পর লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া পড়তে হয়। 

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামাজ শেষে নিচের দোয়াটি কমপক্ষে একশত বার পাঠ করা বা পড়া খুবি উত্তম:- 

“সুব্‌হানাল্লাহি ওয়াল হাম্‌দু-লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্‌ আলীয়্যিল আযীম”। 

আরও পড়ুনঃ

নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী এই কথার অর্থ কি?

লাইলাতুল কদর কি? 

‘লাইলতুল কদর’ শব্দটি হচ্ছে একটি আরবি শব্দ। শবে-কদর হচ্ছে মূলত ‘লাইলাতুল কদর’ এর ফারসি পরিভাষা।

এখানে উল্লেখ্য ‘শব’ অর্থ রাত, আর আরবি শব্দ ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থও রাত বা রজনী। কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মানিত, মহিমান্বিত ইত্যাদি।

সুতরাং লাইলাতুল কদরের বাংলা অর্থ হচ্ছে সম্মানিত রজনী, পবিত্র রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।

FAQS – কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?

কদর নামাজ দুই রাকআত করে পড়তে হয়। প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার সূরা কদর ও দ্বিতীয় রাকাতে তিনবার সূরা ইখ্‌লাস পড়তে হয়।

উপসংহার,

আশাকরি কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

মহান আল্লাহতালা আমাদের জন্য এই পবিত্র রজনী সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমরা সে অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ গুলো মাফ করবেন এবং আমাদেরকে জান্নাতের ভালো মকাম দান করবেন।

আরও পড়ুনঃ

হ্যাশট্যাগ কিভাবে কাউন্ট হয়?

শুধু নিজের জন্য নয় এই পবিত্র রজনী আপনি আপনার পূর্বপুরুষযারা এই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন এবং মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন সকলের জন্য দোয়া প্রার্থনা করবেন।

কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই সম্পর্কে আরও জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।

নিয়মিত সঠিক তথ্য জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।

এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Leave a Comment