লাইলাতুল কদর নামাজ কখন পড়তে হয়?
মুসলমানদের জন্য আরবি ক্যালেন্ডার সবচেয়ে উত্তম মাস মাহে রমজান। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইওসাল্লাম ও হাদিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে মাহে রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাতে শবে কদর তালাশ করার জন্য বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট করে কোথাও বলা হয়নি যে শেষ দশদিনের রাত্রিতে লাইলাতুল কদরের নামাজ আদায় করার জন্য। তবে আলেম-ওলামাদের ধারণা ও হাদিসের আলোকে মাহে রমজানের 27 তম রমজানে শবে কদর পালন করা হয়। হাদিস থেকে জানা যায় যে এই রজনী মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ সকলকে ক্ষমা করে দেন এবং বলা হয়ে থাকে তওবা কবুলের জন্য সেরা একটি রজনী।লাইলাতুল শবে কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং শবে কদর নামাজ কত রাকাত এসম্পর্কে হাদিসে ব্যাপক বর্ণনা রয়েছে। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত আপনার প্রশ্ন যদি এমন হয় তবে বলব এর কোন নির্দিষ্ট পরিমান ও পরিমাপ নেই। আমাদের দেশে মসজিদগুলোতে এশার নামাজের পর শবে কদরের নামাজ হিসাবে১২ রাকাত নামাজ আদায় করার রীতি দেখা যায়।রাজনীতি কিভাবে করতে হয়? রাজনীতিক হতে হলে করনীয় জানুনমূলত মুসল্লিদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ শবে কদরের নামাজ হিসেবে পড়ার একটি রিতি মাত্র এটি। আপনি দুই রাকাত করে নফল নামাজ যতো খুশি ততো রাকাত পড়তে পারেন এই রাতে। তবে শবে কদরের নামাজ দুই রাকআত করে চার রাকআত আদায় করলেই হবে বলে জানা যায়। যেহেতু এই রাতে ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য হাসিলের কথা বলা হয়েছে তাই এরপর যত ইচ্ছা নফল নামাজ আদায় করা যায়। শবে কদরের ২ রাকআত নামাজের প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার সূরা কদর ও দ্বিতীয় রাকাতে তিনবার সূরা ইখ্লাস পড়তে হয়। দুই রাকআত করে চার রাকআত নামাজ পড়ার পর বসে বসে কিছু তসবি পড়ারও রীতি রয়েছে শবে কদরের পবিত্র এই রজনীতে। মূলত নফল নামাজ পড়া, তসবি পড়া, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা ও আল্লাহ তায়ালার গুনগান করে এই মহা রজনী পালন করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। এই রাত্রি সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে সমগ্র রাতের কোনো এক সময় আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরকে কে তার নুর দ্বারা পবিত্র করে দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। তাই হাজার বছরের চেয়ে উত্তম এই পবিত্র রজনীতে আমরা সবাই হাদিস অনুসারে বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার গুন-গান করব এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উদ্দেশ্যে দুরুদ ও সালাম পেশ করব।
Perkinil কি কাজে ব্যবহার হয়?
শবে কদর নামাজের নিয়ত বাংলা
নাওয়াইতু-আন্ উছাল্লিয়া-লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্রি নফ্লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া
লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া পড়তে হয় মূলত প্রতি চার রাকাত পর পর। লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামাজ শেষে নিচের দোয়াটি কমপক্ষে একশত বার পাঠ করা বা পড়া খুবি উত্তম:- “সুব্হানাল্লাহি ওয়াল হাম্দু-লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্ আলীয়্যিল আযীম”।লাইলাতুল কদর কি?
‘লাইলতুল কদর’ শব্দটি হচ্ছে একটি আরবি শব্দ। শবে-কদর হচ্ছে মূলত ‘লাইলাতুল কদর’ এর ফারসি পরিভাষা। এখানে উল্লেখ্য ‘শব’ অর্থ রাত, আর আরবি শব্দ ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থও রাত বা রজনী। কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মানিত, মহিমান্বিত ইত্যাদি। সুতরাং লাইলাতুল কদরের বাংলা অর্থ হচ্ছে সম্মানিত রজনী, পবিত্র রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?
কদর নামাজ দুই রাকআত করে পড়তে হয়। প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার সূরা কদর ও দ্বিতীয় রাকাতে তিনবার সূরা ইখ্লাস পড়তে হয়।
উপসংহার,
আশাকরি কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। মহান আল্লাহতালা আমাদের জন্য এই পবিত্র রজনী সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমরা সে অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ গুলো মাফ করবেন এবং আমাদেরকে জান্নাতের ভালো মকাম দান করবেন।হ্যাশট্যাগ কিভাবে কাউন্ট হয়?শুধু নিজের জন্য নয় এই পবিত্র রজনী আপনি আপনার পূর্বপুরুষযারা এই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন এবং মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন সকলের জন্য দোয়া প্রার্থনা করবেন। কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই সম্পর্কে আরও জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। নিয়মিত সঠিক তথ্য জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।