পদত্যাগ পত্রে যেসব বিষয় থাকা জরুরি –
সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম হলেও আপনি কেন চাকরি ছাড়ছেন এই বিষয়ে বিস্তারিত সুস্পষ্ট মন্তব্য দেয়া জরুরী। সেই সাথে কিছু প্রাসঙ্গিক কারণও রয়েছে যা নিন্মে উল্লেখ করা হয়েছে।১। আপনার উদ্দেশ্যঃ
আপনার পদত্যাগ পত্রের প্রধান অংশে আপনাকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে আপনি কেন এই পদ ও কোম্পানি ছেড়ে দিতে চাইছেন? সেখানে আপনার বর্তমান পদ ও কোম্পানির নাম উল্লেখ করতে হবে। আপনি এই বিবৃতিতে আপনার শেষ কাজের তারিখ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে অথবা এই নিয়ে পরবর্তী অনুচ্ছেদে আরও বিস্তারিত লিখলে ভালো হয়। সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম অনুসারে আপনাকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। এই নোটিশ সব জায়গাতেই বাঞ্চনীয় থাকে। আপনি সরকারি চাকরি ছেড়ে যাওয়ার আগে আপনার কোনো কাজ বা পাওনা থাকলে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত লিখুন। যেমন- বাকি থাকা প্রজেক্ট বা পূর্ববর্তী মাসের বকেয়া পেমেন্ট। রেসিগ্ন্যাশন লেটার দেওয়ার মূল ঊদ্দেশ্য হলো একটি সঠিক রেসিগ্ন্যাশন লেটার আপনার আসন্ন অনুপস্থিতির জন্য সরকারি অফিসকে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এটি আপনার স্থানে অন্য কাউকে খুজতে অফিসিয়ালভাবে অনুমতি দেয়।২। আপনার সরকারি চাকরি ছাড়ার কারণঃ
আপনাকে রেসিগ্ন্যাশন লেটারে সরকারি চাকরি ছাড়ার যথাযথ করণ সম্পর্কে জানাতে হবে। তা স্বাস্থ্য বা শারীরিক কোনো অসুস্থতা সম্পর্কিত হোক, স্থানান্তরের জন্যে হোক (আপনাকে নতুন কোনো জায়গায় পোস্টিং দিলো কিন্তু সে জায়গাটি আপনার ভালো লাগছে না)। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য যেকোনো কারণই হোক না কেন আপনাকে স্পষ্টভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার কারণ সম্বন্ধে লিখতে হবে। আপনি চাকরি ছাড়ার মূল উদ্দেশ্য কি? সেই ব্যাপারে আপনার নিয়োগকর্তাকে স্পষ্ট কারণ দেখতে হবে। সাধারণত মানুষ সরকারি চাকরি ছাড়তে চায় না। বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরি সোনার হরিনের মতো। তারপরও মানুষ মূলত ৪ টি কারণে সরকারি চাক্তি থেকে স্থফা দিতে চায়। কারণ গুলো হলো—- বয়স্কজনিত অবসর।
- ঐচ্ছিক অবসর।
- বাধ্যতামুলক অবসর।
- আক্ষ্যমতাজনিত অবসর।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডেভেলপারের মধ্যে পার্থক্য
হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
চাকরি ছাড়ার রেসিগ্ন্যাশন লেটার লেখার নিয়মাবলি :
তারিখঃ
প্রথমত, চাকরি হতে অব্যাহতি পত্র লিখার সময় কোন তারিখ হতে চাকরি ছাড়তে চান তা আবেদনের মূল অংশে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে নূন্যতম একমাসের সময় দেয়া যেতে পারে যাতে করে সরকার আপনার স্থলে অন্য লোক নিয়োগের অনুমতি দেয়। তবে এক সপ্তাহ বা তার কম সময়ের মধ্যে চাকরি ছাড়ার প্রয়োজন হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনাক্রমে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অব্যহতির জন্য আবেদন করা যেতে পারে। চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো উন্নতমানের অর্থাৎ অফিশিয়ালি A4 সাইইজ্জের কাগজ ব্যবহার করতে হবে।ঠিকানাঃ
পরবর্তীতে বরাবর লিখে আপনার ঠিকানা লেখবেন। দরখাস্ত লেখার সময় একটা নির্দিষ্ট ধারা বজায় রেখে ডান দিক থেকে লাইন সোজা করে ল্লিখতে হয়। ঠিকানা সঠিকভাবে না লিখলে এক ধরণের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়।বাচনভঙ্গিঃ
সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম লেখার সময় বাচনভঙ্গি সহজ ও প্রাঞ্জল হতে হবে। লেখার মধ্যে এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না যা দেখতে অনেক দৃষ্টিকটু দেখায়। এতে আপনার উপর এক ধরণের বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।সম্বোধনঃ
সম্বোধন সুস্পষ্ট হওয়া মার্জনীয়।লেখার ধরণঃ
যতটা সম্ভব সংক্ষেপে এবং গুছিয়ে পুরো দরখাস্তটি সম্পন্ন করুন। এতে দরখাস্তটি আকর্ষণীয় হবে এবং পড়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হতে হবে। অহেতুক কোনো ধরনের বাক্য বারবার লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। শুরুর দিকের লেখাগুলো আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করতে হবে যাতে যে পড়ছে তার যেন এক ধরণের আগ্রহ তৈরি হয় পুরো দরখাস্ত টি পড়ার জন্য। সুস্পষ্টভাবে সকল কারণ সঠিকভাবে ব্যাখা করুন। কারণ ঠিকমত কারণ দর্শাতে না পারলে আপনাকে নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন করা হতে পারে।সমাপ্তিঃ
সমাপ্তি টাও শুরুর দিকের মতো গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে বারবার চেক করে নিন যাতে কোনো ভুল-ত্রুটি না থাকে। নিম্নে একটি নমুনা দরখাস্ত দেওয়া হলো— তারিখ, বরাবর, পরিচালক, প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা। বিষয়ঃ চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন। জনাব, আমি আপনার প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৪ বছর যাবত সহকারি অপারেটর পদে চাকুরীরত ছিলাম। এখন আমার (সমস্যার নাম) সমস্যার কারনে আমি আপনার প্রতিষ্ঠানে আর চাকরি করতে পারছি না। জনাবের নিকট আমার বিনীত আবেদন, আমাকে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাধিত থাকবেন। নিবেদক, আপনার নাম আপনার পদ কোম্পানি ID (যদি থাকে) তারিখঃ যে তারিখে দরখাস্তটি লিখবেন সেইটা। নতুন চাক্রিতে জয়েন করা জয়েন করা আবার পুরোনো চাকরি ছেড়ে দেওয়া এই দুটোই হল আমাদের জীবনেরই একটা অঙ্গ। প্রায় সকলকেই মন মতো চাকরি না পাওয়া, বেতন কম ইত্যাদি কারণে কম-বেশি চাকরি পরিবর্তন করতে হয়। এই চাকরি পরিবর্তনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো পুরোনো চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারটি। কারণ এই স্থফা লেটারটি নতুন চাকরিতে দেখাতে হয়। ইস্তফা দেওয়ার সময় আমাদের যে রেসিগ্ন্যাশন লেটার অফিস কর্তৃপক্ষকে লিখতে হয়, সেটার ব্যাপারে আমাদের অনেকের মনেই নানা আশঙ্কা কাজ করে। তবে, আমাদেরকে সবসময়ই একটা সুন্দর করে রেসিগ্ন্যাশন লেটার লিখে জমা দিতে হবে। সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম খুবি সহজ, তবে সরকারি চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন। আরও পড়ুনঃফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
পদত্যাগ পত্রে যেসব বিষয় থাকা জরুরি?
সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় নিজ সমস্যা উল্লেখ করে রেসিগ্ন্যাশন লেটার লিখে জমা দিতে হবে।
সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম কি?
সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম হচ্ছে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কারণ সহ পদত্যাগ পত্রে লিখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া।