প্রিয় পাঠকগণ হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন এ বিষয়টি জানার জন্য আপনারা খুবই আগ্রহী। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হিটলার সম্পর্কে নানান তথ্য জানার জন্য অনলাইন মাধ্যমে নানান ভাবে সার্চ করে থাকেন।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা হিটলার সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান, অর্থাৎ তাকে সংক্ষিপ্ত আকারে জানতে পারবেন এবং হিটলার কোথায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কোথায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসন করেন সে সকল তথ্যগুলো এই আর্টিকেলে আপনারা পেয়ে যাবেন।
তাই অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনারা শেষপর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আপনারা সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন। এবং আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের নানান জায়গায় কাজে লাগতে পারে বলে আমরা মনে করি।
সংক্ষিপ্ত নাম হিটলার হলেও তার পুরো নাম হচ্ছে এডলফ হিটলার।
আরও পড়ুনঃ
এডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালে অস্ট্রিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বংশগতভাবে অস্ট্রিয়ান হলেও তিনি একজন জার্মান রাজনীতিবিদ ছিলেন।
জার্মানের ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এডলফ হিটলার ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির ফিউরার হিসেবে ছিলেন।
পুরো বিশ্বেই যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন হিটলার একজন সৈনিক হিসেবে যোগদান করেছিলেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি নামক একটি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। হিটলার অভ্যুত্থান করতে গিয়ে যখন ব্যর্থ হয়েছিলেন তখন তাকে জেল খাটতে হয়েছিল।
এরপর তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্রের বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ
কিভাবে উপস্থাপনা শুরু করতে হয়?
এভাবে তিনি একসময় মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিণতি পান। নাৎসিরা তাদের বিরোধী দলের অনেক মানুষকেই হত্যা করেছিল।
রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়ে ছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্র বাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রদান করেছিল।
হিটলার সেসময় এমন একটি বৈদেশিক নিয়ম নীতি গ্রহণ করেছিলেন যাতে সকল “লেবেনস্রাউম” (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
হিটলারকে ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এখনো অনেক অনেক অনেকেই মনে করেন হিটলারি পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত ব্যক্তি।
হিটলার নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সাথে অনেক অন্যায় এবং ব্যভিচার করেছে এটি সকলেরই জানা।
ইতিহাসের পাতায় হিটলারের নাম সব সময় একজন খারাপ ব্যক্তি হিসেবেই রয়ে যাবে। তিনি অস্ট্রিয়া তে জন্মগ্রহণ করেছেন কিন্তু নাগরিকত্ব নিয়েছেন জার্মানিতে।
এখন আপনাদের প্রশ্ন হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন তার উত্তর দেয়া যায়।
অর্থাৎ হিটলার জার্মানির অধিবাসী ছিলেন।
আশা করি হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন এই নিয়ে আপনাদের আর কোন কিন্তু নেই।
আরও পড়ুনঃ
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম কি?
১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড দখল করে এবং ফল শ্রুতিতে ব্রিটেন এবং জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স যুদ্ধের ঘোষণা করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের সময় জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল।
কিন্তু পরিশেষে মিত্রশক্তির জয় নিশ্চিত হয়। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানিকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিল।
হিটলারের রাজ্যজয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লাখো মানুষকে নিজেদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল। পরিকল্পনামাফিক ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল।
ইহুদিদের এভাবে মারার ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিতি দেয়া হয়েছে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন।
লাল ফৌজ যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রী ফায়ার গেম খেললে কি ক্ষতি হয়?
হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
হিটলার জার্মানির অধিবাসী ছিলেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলটি হিটলার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন এবং হিটলার সম্পর্কিত নানান অজানা তথ্য নিয়ে গঠন করা হয়েছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে হিটলার সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আরও পড়ুনঃ
ব্রেকিং নিউজ ও তথ্য বহুল সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আর্টিকেল বলি ভালো লাগলে করতে পারেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পাওয়ার জন্য চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।