জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে?
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে এই সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই। তবে জাতিসংঘ নামটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন বলে জানা যায় একজন আমেরিকান প্রধানমন্ত্রী। ঐ মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম রুজভেল্ট ( ১ জানুয়ারি ১৯৪২ )। তারপর উন ১৯৪৫ সালে ৫১ টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতীয়সংঘের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। জাতিসংঘের আয়ের উৎস হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর চাঁদা, এবং এর বৃহত্তম চাঁদা প্রদানকারী দেশ আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ( বাজেটের ২২ শতাংশ )। তাই জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে এই প্রশ্নে বলা যায় এই সংস্থা টি কারো একক প্রচেষ্টায় তৈরি হয়নি। আমরা বলতে পারি জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে এর কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি নেই।জাতিসংঘ নামের সংস্থা প্রতিষ্ঠার কারণ? .
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বিজয়ী মিত্রশক্তি পরবর্তীকালে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ ও সংঘাত প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হন। তখনকার বিশ্বরাজনীতির পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এমন একটি সংস্থা অত্যন্ত জরুরি ছিল। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার সাংগঠনিক অবকাঠামোর কার্যক্রম এখনো পূর্বের ন্যায় পরিচালিত হতে দেখা যায়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ আর্থসামাজিক ও আইনের সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয়সংঘ তার সদস্য দেশগুলোর সাথে যে কোন বিষয় আলোচনা করে থাকে। বর্তমানে বিশ্বে ১৯৩ টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য ভুক্ত। যে কোন স্বাধীন দেশে জাতীয় সংঘের সদস্য পদ লাভ করতে পারেন।সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়মজাতীয় সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচটি। বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ গুলি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও গণচীন। তবে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর ভোটের মাধ্যমেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নির্বাচন করা হয়ে থাকে। জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী হলেন এর মহাসচিব। ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখ থেকে জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী বা মহাসচিব হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন পর্তুগালের নাগরিক রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও ম্যানুয়েল দে অলিভেইরা গুতারেস। জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত। জাতিসংঘের আরো অনেকগুলো অঙ্গ সংগঠন নিয়ে জাতিসংঘ সারা বিশ্বের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?
জাতিসংঘ হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক তথা বিশ্ব প্রতিষ্ঠান, যা তার সদস্য দেশগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের লোকেদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকে। প্রতিটি সংঘ কোন না কোন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়ে থাকে তেমনি জাতিসংঘ কিছু মহৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে নিয়ে গঠিত হয়েছে।কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়?জাতিসংঘ সংস্থা তৈরীর পাঁচটি মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য হচ্ছে-
- সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
- বিভিন্ন দেশের জাতি তথা দেশের মধ্যে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করা ।
- অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
- জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সখ্যতা গড়ে তোলা।
- বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে?
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতার নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে জাতিসংঘ নামটি সর্বপ্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম রুজভেল্ট ১ জানুয়ারি ১৯৪২ সালে ব্যবহার করেন বলে জানা যায়।
কেন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল?
মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী দেশ গুলো তাদের দেশকে শত্রুপক্ষের আক্রমন থেকে মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যেই একটি জোট গঠন করে এবং এর নামকরণ করা হয় জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ কত সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল?
১৯৪৫ সালে ৫১ টি সদস্য রাষ্ট্র দেশ নিয়ে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতীয়সংঘের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
জাতিসংঘের সদস্য দেশ কয়টি?
বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯৩ টি।
জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব কে?
জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব কে নাম হচ্ছে অ্যান্টোনিও ম্যানুয়েল দে অলিভেইরা গুতারেস। তিনি একজন পর্তুগাল নাগরিক।